রাত্রি গভীর। হ্যাঁ, প্রায় সাড়ে ৭ ঘটিকা। ঘুরঘুটিল অন্ধকার। একটি মিষ্টি চাঁদ উঠেছে মেঘের দেউড়িতে। পুকুরের জলে ছায়া পড়েছে বটগাছের। ঠিক, এমন পুকুর দেখা যায় না বললেই চলে কেননা এই পুকুরপাড় ন্যাড়া। বাতাস আছে। দোপাটির পাতাগুলি দুলছে। আশ্চর্য এই পাড়া —কোথাও দোপাটি নেই! শুধু ইনকা গাঁদা আর বাজ ভেরেন্ডা। আমি চলেছি। একটি মৃত পশুখামারে যেতে চাই। দেখতে চাই কোথায় যায় সব মৃতেরা। চিড়িয়াখানায়? চিড়িয়াখানা ঘুরে কোথায় যায়? পচাই পান করা জাতি, শুঁটকি খাদ্য যাদের, তারা এখন যাহা পচনশীল তাহা নিয়েই সন্দিগ্ধ। টর্চে হ্যাজাকের আলো। সমস্যা হল, বহুদিন ব্যাটারি দিতে পারিনি টর্চটায়। পথে ধুলো নেই। মেটে রাস্তা। এমন চাঁদ, এমন চাঁদু, সঙ্গিনী থাকা বাঞ্ছনীয়। মেলে কই? বেসুরকার যে আপনি, তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার গান্ধর্বী কই? এ পথ কার্যত শূন্য, যেমন ও যেভাবে এ পথিক। শূন্যতার কয়েকটি সুবিধা হল এই —
১. আপনি আপাতত আকাশ। সমার্থক। ফলত আপনি তারকাখচিত। উপভোগ করুন।
২. কেন এই শূন্যতা? ভাবতে বসলেন। এবার আপনি হলেন ভাবুক, চিন্তক, মায় দার্শনিক। এ কম কথা?
৩. আমি শূন্য, হ্যাঁ, আমিই শূন্য। এই বোধ আপনাকে পরিপূর্ণ রাখবে। 'আত্ম'-এর প্রতি প্রেম নিবেদন করতে অনুরোধ করবে। এটাই কি আংশিকভাবে সীমার মাঝে অসীমকে খুঁজে পাওয়া?
৪. যেহেতু আপনি শূন্য, সেহেতু ধরে নিতে হবে আপনি দুর্বল। দৌর্বল্য কি বিনীত করে? যদি করে —আপনাকে শুভেচ্ছা, ভাগ্য আপনার সহায়ক।
জিয়া হক