দিন বুড়ো
..............
অন্ধকার বসো পাশে এসে
উপদ্রব আলোর আর শেয়ালের
উচ্চতম শাখাটির নাম ভালোবাসা
সব পথ নিজ নিজ ধর্মঘরে গেছে
শীত এসেছে
হেসে উঠবে পাখিদের শিশুখাদ্য, প্রবাসী
স্নেহের চুমুগুলো, ব্লিচিং পাউডার যত
আত্মীয়তা জমা ডিব্বাদের
চটকল, রুমাল কারখানা ডুবে যায়
উৎসবের চোখের প্রস্রাবে
এত লোক, এত নির্জনতা
এত নাচ, এত ভেঙে পড়া
কত ধান, কত টাকা চাল
এত চাল, এতই বাচাল
কে পারে এমন এক রম্য লিখে দিতে,
সুরভিত ভীতু সুর সমক্ষে আনিতে
যা বলবে, শকুন - সংগীত থেকে
সাবধান হও পিতঃ
সন্তান ঢাকতে গিয়ে যে পিতা নগ্ন হয়েছে
কম্বল এই শৈত্যে প্রাপক তার দেহ
কেউ আর ঘুঁড়ি ওড়াবে না
কাগুজে স্বার্থে তাই আকাশও
দেখবে না কেউ
ছোট মেঘ আরও ছোট পরিজন নিয়ে
চলে যায় আলাদা আকাশে
কিছু আর অনিবার্য নয়, হে সঙ্গসুখ
চলেই তুমিও যেতে পারো, কেননা
শাহজাহান বোকা লোক ছিল — এ ভাষা
রাষ্ট্র হয়ে গেছে ;
আমিই মমতাজ আমার — এ ভাষ্য রাষ্ট্র করা হল
কী নষ্ট এই বিকেলের হাওয়া
সঙ্গী বদলে বড় চাপ দিয়ে থাকে
ও এক এমন ধুতুরা যা তুলসীর পোশাকে
আমারই মনে মনে নমস্য হয়েছে
চেনে না যারা গাছ, লোক, বইয়ের প্রকার
প্রতিবন্ধী তারা কি নয়?
তারাই কি তীর্থক্ষেত্র জমজমাট রাখে?
কোলে তুলে দেখ দু পেয়ে শিশুকে
কোলে নিয়ে দেখ কুকুরছানাকে
কী মনে হয়?
কাল থেকে দুধে জল দেবে?
সরিষার ভেতরে আর ভৌতিক মেশাবে?
সমস্ত ব্যাখ্যায় তাছাড়া
শৈশব আনা হবে কেন?
তারা কি টুকরো উনুন
সকলেই সেঁকে নেবে রুটি, হাত, ভাবমূর্তিগুলো?
ভালবাসা একটা ডিসেম্বর যার শীতসমূহ
ঔদাসীন্যে হারিয়ে গেছে কোনও
বিশ শতকের গ্রামধারে
জিয়া হক