ভোজ
.........
পূর্বপুরুষের প্রতি ক্ষোভ জাগে আমার ভিতর
জ্ঞানহীন মুন্ডুগুলি চেপে ধরি আগুনের গায়ে
শব্দ করে খুলি ফাটে মধ্যরাতে ডাকিনী প্রহর
বুকের পাঁজরে ঢেলে ভোজ রাখি ছাদের কোনায়
চলন
........
জিন্সের পকেটে হাত, বাড়ি ফিরি আড্ডা মেরে একা
রাস্তা থেকে গলিপথ ক্রমশ জটিল বাড়িঘর
ছেড়ে ছেড়ে যায় পার্ক, পুরনো পুকুর
এভাবে একার মানে পাহাড়ে বরফ পড়া বলে!
দু'একটা লোক ধীরে চলে গেলো সাইকেলে চেপে...
কলোনি পাড়ার ঘরে গান বাজে টিভির ভেতরে
দরজায় দরজায় তালা আর দোকানে শাটার
চায়ের দোকান শুধু খোলা থাকে রাতে
কুকুরকে দূর থেকে বিস্কুটের লোভ কাছে টানে
এইসব দেখি আমি
আড্ডা মেরে ফেরার সময়
ভুলে যাই কটুকথা, ভুল বাক্য, চোরের চালাকি
জিন্সের পকেটে হাত, উদাসীন গলিপথে একা
নিজ মনে শিস দিতে থাকি...
বইমেলা
............
হাওয়ায় এলোমেলো মেয়েটি এসেছিল
পেরিয়ে যানজট বইমেলায়
সোনালী গোল মুখ চেনে না কাউকেই
আমাকে বলেছিল- আসবে তো?
আকাশে ঘন মেঘ দুচোখে সংশয়
বা-কাঁধে ছিল ব্যাগ, অনেক ভার
আমিও ভীড় ঠেলে ধরেছি হাতদুটো
বলেছি সবটুকু আমাকে দাও
দুজনে পা ফেলে দেখেছি বই ঘেটে
কিভাবে কবিতায় সন্ধ্যা হয়
পাখিরা মুখে করে নিয়েছে খড়কুটো
হয়ত সেও কিছু বলতে চায়
অচেনা লোকজন দেখেও দেখছিনা
গিটারে মন নেই একটুও
জ্যোৎস্না ছুঁয়ে ছুঁয়ে মেঘের ঘরবাড়ি
আমরা চলেছিলাম সেইদিকে
জানিনা আর কবে, হয়ত দেখা হবে
পলাশে ঢাকা মাঠ বসন্তের
মেয়েটি ফিরে যায় বৃষ্টি ভেজা পথ
দেখেছি দূর থেকে একটানা
সৌভিক বসু'র প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ :
১. অলীক ভ্রমণ চিঠি / সোঁতা
২. দুমুঠো গল্পের মতো / জানলা
সৌভিক বসু'র প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ :
১. অলীক ভ্রমণ চিঠি / সোঁতা
২. দুমুঠো গল্পের মতো / জানলা