গর্দভ এক খোকা
........................
প্রেরণাজাত শহরের যত লগি
ঠেলে আনে রোগা
সেই কালো মনোরোগী
হয় হয় রাত
ডাকে পেঁচা আর লোকে
আসে সাইকেল
বায়ুপ্রাণ এসে ঢোকে
আধা শহরের ভারবাহী সব দিক
দেখে যায় খালি
বোকা ওই মানসিক...
সান্ধ্য বিড়ির উপযোগিতার মতো
এমন লোকেরা ড্রেনে হয় নির্গত
আগুনে পোড়ে না, জলেও কি ডোবে এরা?
এদের তীরেই দেবতার ঘোরাফেরা
কীটমানুষ
..............
কীটনাশক এইখানে পড়িয়াছে কম
জঙ্গলের গাছে কেউ সার মারে নাকি
বাক্য দিয়ে আমি তাকে বুঝিতে সক্ষম
শস্যদের খাদ্য হওয়া
এখনও যে মাসাধিক বাকি
আমি তো পচনশীল, হাটে ও বাজারে
জঙ্গলের গাছে আহা সার কেউ মারে?
পরিচর্যাহীনভাবে আমি আছি দেখো
লক্ষ রাখি
শস্য ধান্য কণা
গতরের ঠিক দাম আজও জানিনেকো
ফলত শ্রমের ক্রেতা
ধন্যবাদ-
সহ আট আনা
দেয়। আজ সূর্য উঠল খুব
মুঘল যুগের যেন সেনা
পাখা থেকে হাওয়া পড়ে —টুপ
গ্রন্থপঞ্জি
আমাকে জানবে না
কুকুরভর্তি মাথা
......................
ফলত এখানে জাগতিক কোনো পিঠা
হয়নি বানানো, জানতে চাইছো মঙ্গলপদ কী তা ?
নয়া সন্দেশ গড়ে ওঠে ভান্ডারে
লোক নেই তাই মাছি আসে কিনিবারে
মালিক প্রয়াত, কুকুরেরা ডাকে খুব
গেটে তালা ঝোলে, কাঁচা পাতাদের স্তূপ
পোড়ে না অথচ নাকে মুখে এসে লাগে
যেদিন বৃষ্টি সেদিনের পুরোভাগে
একটি বৃদ্ধা পাতা কুড়নোর ছলে
বলে ইতিহাস, সমাজবিদ্যা বলে
হোটেল যেখানে, উনিশ শ দুই সালে
বুনো ঝোপ আর শেয়ালের গোলমালে
ভেঙে গিয়েছিল যত ছিল সেরা ফুল
ভিজে যায় শুধু সাদা বুড়িমার চুল
ছিল কি বিপদ, ছিল কি শান্তি এত?
রেলগাড়ি আসে, হয়নি কি উন্নত?
প্রাচীন লোকেরা গায় যত লোককথা
অঞ্চলে তত নেমে পড়ে নীরবতা
আকাশে কত না বিদ্যুৎ জন্মালো
'এসো সখি আজ বোরখাটি খুলে ফেল।'
দেখো মোহরের ছড়াছড়ি ওই দেশে
লোক নেই তাই মাছি বসে সন্দেশে
জিয়া হক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Share. Comment. Subscribe