প্রাদুর্ভাব
চতুর্দিকে চাপচাপ অন্ধকার
আর খাঁচা বন্দী মানুষের দল
পরিবার ও সঞ্চয় ঘিরে জমাট বেঁধেছে
বিপণি এখন তুচ্ছ মনে হয়
বাতাস আতঙ্কে ঘনীভূত আর ধুলোসর্বস্ব রাস্তায়
দেখেছি আশার আলো উড়ন চাকীর মত
মাথার ভিতর, যেন ফড়িঙের ডানার কল্লোল
তীব্রতর হচ্ছে আরো
এটি কোনও ঈশ্বরের অভিশাপ বা আশ্চর্য নয়
বহুকাল ধরে আমি
আমাদের বিশৃঙ্খলায় দেখেছি
জমি বা জুতোর জন্য বা শব্দের অমোঘ আকর্ষণে
কবর দিয়েছি মৃত অর্ঘ্য,
ভুলে গেছি পিতা ও পুত্রের বাক্যালাপ, মায়ের আদর
এটি কোনও ঈশ্বরের অভিশাপ বা আশ্চর্য নয়
এমন সময় অভিপ্রেত ছিল
পৃথিবীর ঘড়ি যাতে ক্লেদ ঝেড়ে ফেলে
যখন পাখিরা পুনরুদ্ধার করবে তাদের আশ্রয়
শীলমাছ নির্ভয়ে সাঁতরাবে হিমগ্ন স্রোতে
আর ভালুকেরা ফুলের নেশায় ফিরে আসবে
আজ মনে হয় এমনই হওয়ার কথা ছিল
হয়তো আমার ভুল, কিন্তু এমন চিন্তার মধ্যে
দেখা পাই আত্মবসন্তের
এটি কোনও ঈশ্বরের অভিশাপ বা আশ্চর্য নয়
কবিতা ও সঙ্গীতের নেশায় মাতাল হয়ে
চিরশান্ত ঘুম নেমে আসে চোখে
আর যে ভয় তাড়া করতো কখনো আমাকে
মৃত্যুর অপ্রীতিকর পরিনাম, প্রতিশোধ মাখা
জামায় যে মন্ত্র লেখা আছে, একটি সুন্দর লাইন
বিষণ্ণ গাছের নিচে, 'মুহুর্ত বিশ্বাস করে,
একদিন অসুস্থতা ভবিষ্যৎ আগলাবে'
এটি কোনও ঈশ্বরের অভিশাপ বা আশ্চর্য নয়
কোনও না কোনওভাবে
একদিন সকলেই মরে যায় প্রিয়
এবং নিজের মৃত্যু আমরা নির্বাচন করি না
কিভাবে মরণ দেখা দেবে, এবং যন্ত্রণা কত তীব্র হবে
তা কখনো কারো সম্মতির অপেক্ষা করেনি
কিন্তু আমি বেছে নিতে পারি বাঁচার উপায়
তা কখনো পূর্বনির্ধারিত নয়, আর পরবর্তী দুঃস্বপ্নে
যখন সবার সাথে দেখা হয়ে যাবে, জানি
আবার সকলে আমরা মাতোয়ারা হব উৎসবে
এটি কোনও ঈশ্বরের অভিশাপ বা আশ্চর্য নয়
সময় এসেছে
যখন মানুষ মানুষের জন্য দুশ্চিন্তায়
কিভাবে সে বাঁচবে আর নিজের শিশুকে
শেখাবে লড়াই করতে, এবং মানিয়ে নিতে
ভয়ংকর প্রলয়ের সাথে
এখন ওষুধ হয় আরেকটু নিঃশ্বাস দেবে ফুসফুসে
অথবা রক্তের নদী বয়ে যাবে অদৃষ্টের দিকে
আমাদের অর্ঘ্য তবু পারে ফিরিয়ে আনতে
আরেকটি নতুন ভোর
এটি কোনও ঈশ্বরের অভিশাপ বা আশ্চর্য নয়
শুধু বহু মানুষের উন্মাদনা- কিন্তু কেন?
শুধু আমাদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য
কারা ক্ষমতায় আছে
________________________