আমিও যে লিখি একটা-দুটো। কিন্ত কী হয় এতে? শুভানুধ্যায়ীরা তো বলে, বিয়ে করো, সংসারী হও, চাকরি জোগাড় করো, বাড়িটা রং করার সময় হয়ে এল।
শুভানুধ্যায়ী যার নেই সে একটা পোড়ো বাড়ি।
আমি চিরকাল ভেবেছি, আমার মৃত্যু নিয়ে, কেমন হবে, কোন হালতে হবে, কী মনে পড়বে তখন, কে পাশে থাকবে। আদৌ কেউ থাকবে?
কী-ই বা হবে মৃত্যুর পরে? আমার তো সন্তানকন্যাপুত্র নেই। স্মৃতি আগলানোর কেউ নেই। যদিও আমি চেয়েছি, আমি গত হলে, আমার সংক্রান্ত ও সম্পর্কিত সব স্মৃতিরও যেন গতি হয়। সান্ধ্য-মজলিশে আমার রূহ যেন অনুপস্থিত থাকে।
সেখানে সুগন্ধী সুপেয় চা থাকুক, মৃতেরা আবার কেন?
মির, আমি আপনার নজমগুলোর দিকে তাকিয়ে এইসব ভাবছি। ট্রেন চলছে, আমার মধ্যে আপনিও প্রবাহিত হচ্ছেন ।
আর বাঙালি এক ট্রেনবাহিত পাঠক সম্পূর্ণত নিশ্চিহ্ন হওয়ার কথা ভাবছে।
মানুষ কি বোকা, তাই না মির সাহিব!
ভালবাসা
জিয়া হক