ওদের দাবি অন্যায্য নয়। দাবি আছে মানে কোথাও ক্ষীণ হলেও কোনও যুক্তি পরম্পরা আছে ; অন্তত বিশ্বাস আছে। যে প্রার্থী সে সব সময় প্রার্থনার যোগ্য না হলেও সে যে তার প্রাপ্তির ইচ্ছা প্রসারিত করেছে সেটাই বিবেচনার। এতে কি দুর্বলতা প্রকাশ পায়? স্বাভিমান নিকাশিত হয় কি? হয়ত হয় কিন্তু তা গুরুত্বপূর্ণ নয় তখন। প্রয়োজনই প্রণিধানযোগ্য। কথা অন্যত্র। আমরা তো দাবিদার, আমরা কি অপর দাবিদারদের বিষয়ে সচেতন? যদি না হই, যদি চিন্তায় অযত্ন থাকে তাহলে প্রার্থনা করার অধিকার থাকে না। জ্ঞানদানন্দিনী একবার আমাকে প্রশ্ন করেছিল, তুমি জীবনের কাছে কী প্রত্যাশা করো?
আমি বলেছিলাম, শান্তি।
সে পরক্ষণেই বলেছিল, তুমি কি কারও শান্তির কারণ হয়েছো কখনও?
আমি বলি, না।
তাহলে জীবন তোমাকে শান্তি দেবে কেন? সে সপ্রতিভভাবে জিজ্ঞাসা করে।
তারপরই শান্তির সংজ্ঞা জানতে চায়।
আমি উত্তর দিতে পারিনি সেদিন। আজও পারব না।
হাত পাততে গেলে যেমন হাতের থাকা জরুরি তেমনই হাত পাতার আগে সেই হাতের ইতিহাসে কিছু কার্যক্রম থাকাও বিশেষ জরুরি।
ভিখিরি কি রোজ বাড়ি ফিরে তার ভিক্ষাপাত্র সাবান দিয়ে মাজে? সে কার কাছে কৃতজ্ঞ —ভিক্ষাপাত্র না মানুষের কাছে? কে তাকে বঞ্চিত করে —ভিক্ষাপাত্র না মানুষ?
বৃক্ষরোপনের রচনা লেখার আগে একটা বৃক্ষচারা রোপন করা জরুরি।
জিয়া হক