এই অসময়
এখন স্তিমিত সব সুর। ঝর্ণাধারা। নিরীহ
যাপন।
বন ও
বন্ধন থেকে রক্ত ঝরে। কাদামাখা মাথা
লাফ দিয়ে
শিকারি সিংহের দ্রুততায়
দিগন্তে
মিলায়। শুধু দুটো একটা ম্লান, প্রবীণ ভিখারি
তুখোড়
স্পর্ধায় একা গোটা একটা দেশ হয়ে রাস্তায় দাঁড়াল।
এরও পরে
সামান্য বাতির মতো আলো, ঝরে থাকে
সজিনার
ডালে ও পাতায়, আলো নয় শুঁয়োপোকা
ধীরে ধীরে
ছালের ভিতরে সরে যায়।
প্রজাপতি
হবে ভেবে অপেক্ষায়, অলস প্রহর
দেখে
নিম্নে শৃগালেরা অন্ধকারে সন্দিগ্ধ আঁচড়
রেখে চলে
গেছে জাহান্নমে, বাকি যা, রুধির
মাটির
সোঁদায় মিশে, অতিকায় ভবিতব্য, ঘ্রাণঘর্মে মিশে যাচ্ছে, ধীর।
পলাতক
কোথাও
যাওয়ার নেই তাই যে তোমার ছায়ায় রয়েছে
অন্য কোন
ছায়া পেলে মুহূর্তেই মিলাবে ছায়ায়।
বাস্তবতা
সে যেমন অনুপুঙ্খ জানে, তুমিও তেমনই।
আমি শুধু
ছায়ার ওপারে কবন্ধ - কৌতুক খুঁড়ে, সরে সরে যাই।
ছায়াবাজি
দেখি, হাসি , ধীরে ধীরে ভারকেন্দ্রহীন মৃত নক্ষত্রে হারাই।
অন্ধকার অথবা নির্জন
এক সূর্য
অন্ধকার, নদীর আড়ালে ভেসে যায়।
ভাঁটার
বিবর্ণ স্রোত। দুটো একটা মৃতদেহ।
পাখির বা
গাছের অথবা অসুখী কোন বিষণ্ণ পাতার।
এই দৃশ্য
বাস্তবিক, কল্প মনে হয়।
সূর্য -
এর আড়ালে নদী বয়ে ভেসে যাওয়ার সময়
রুপোলি
আগুন জ্বলে, কিছুটা চিতার মতো, কিছু বিপ্লবের।
শব্দের
ভিতরে যত নির্জনতা, আলস্য ভাঙার ঢং-এ
দিগন্তে
ছড়ায়।