গুরুবাদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গুরুবাদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

Victims of the fake knowledge


FAKE KNOWLEDGE
................................
জ্ঞান 'ফেক' আদমিকে আধিপত্যকামী করে তোলে। সে আর কোনো প্রশ্ন, কুতুহল, জিজ্ঞাসা গ্রহণ করতে পারে না। যাবতীয় অনুসন্ধিৎসা তার তখন বিরুদ্ধতা ঠেকে। সে বলে বসে, সম্পূর্ণ না জেনে মন্তব্য করো না।
'সম্পূর্ণ' মানে জ্ঞানের কতটা, কতখানি?  যদি জ্ঞানের টোটালিটারিয়ান জায়গা ছেড়ে বৈষয়িক সম্পূর্ণতায় যাই, তাহলে সে পূর্ণতা বিষয়ের কতটা, কতখানি?
যে 'জ্ঞানী'র সমালোচনায় চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে, বিপরীতবাদীকে অশিক্ষিত, অদীক্ষিত মনে হয় —সেই সেল্ফ প্রক্লেমড জ্ঞানী কার্যত ফিউডাল মনের। সে নিজেকে 'নায়ক' ঠাউরে বসে আছে আর প্রশ্ন মাত্রেই সে হেনস্থা ভাবতে শুরু করে।
কেবলই উপহার যেমন একজনকে এতটাই 'স্পেশাল', বিশেষ ভাবিয়ে ফেলে যে প্রকৃত/প্রাকৃতিক থেকে তার চ্যুতি ঘটে, এমন এক স্বরচিত গর্তে সে হাজির হয় যেখানে দেওয়ালে দেওয়ালে তার হাসিমুখ, প্রতিটি গালে চুমু, গর্তটাই রিবন-নির্মিত।
দুঃখপ্রকাশ করছি —এ ব্যক্তি নিজের কাছে আমৃত্যু অজ্ঞাত রয়ে যাবে। নিজের সেই অংশে যেতে সে ভয় পাবে, অনীহা বোধ করবে যেখানে টর্চ জ্বলছে না।
কেবলই শংসা ও প্রশস্তি একজনকে মনুষ্যেতর বানিয়ে দিতে পারে। খানিকটা ওই গাধার মতো যে নিজের পিঠকে আর শরীরের অঙ্গ ভাবতে ভুলে যায় —সে ভাবে ওটা এক তাকিয়া —ওতে তার অধিকার নেই —বোঝাশূন্য পিঠ তার কাছে পিঠই নয় —সে কাপড়ের গাঁটরি আর রবীন্দ্ররচনাবলী আলাদা করতে পারে না —সবই আবশ্যকীয় বোঝা। এই গাধা নেহাত গাধা হলে ক্ষতি নাই, সে 'জ্ঞানী' মানুষ হলে বিপত্তি।
এই জ্ঞানীদের কাছে 'সম্পূর্ণ' জ্ঞান হল ততটুকু যতটুকু সে নিজে জানে। বাকিটা অজ্ঞানতা —অসম্পূর্ণতা।
সিদ্ধ ভাতের প্রতিটি টিপে ছেনে পরখ করতে নির্দেশ দেয় এই ধরনের জ্ঞান। জ্ঞান যদি কান্ডজ্ঞানমুক্ত হয়, তাহলে তার শ্রেষ্ঠ জায়গা হল ডাস্টবিন।
এই জ্ঞানালোক ভর্তি হয়ে আছে এমন মহাপৌরুষে। পুরুষ নয়, পৌরুষই। নারীরাও এর আওতাধীন। এরা নিজেকে পির ভাবে, সাঁই ভাবে, নিজেকে ভাবে মুর্শিদ —যে তার মুরিদ নয়, যে তার আশিক নয় তার জ্ঞানলোকে ঠাঁই নাই। সে অজ্ঞান। মুর্খ।
ভালবাসা
জিয়া হক