শূন্য দশক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শূন্য দশক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

কমদামী বাজার : জিয়া হকের দুইটি কবিতা


প্রথম
প্রয়োজন না হলে জাতির জন্যে লেখা গান কে আর সময় ব্যয় ক'রে শোনে

তার সুর আরোপিত, মনে হয় কেউ বলে, দেশের বিভিন্ন চার কোণে

আমাদের দলের ভেতরে

লৌকিকতার থেকে লোক মুছে গেছে

যাদের ভাসার ঢং
        ঘৃণা করেছিল

বীরখালি গ্রামে শুধু তাহাদের ছায়া পড়ে আছে

দ্বিতীয়
আমি, মনে হয়, গতিপ্রকৃতির নীচে নেমে গেছি
নীচে শুধু আমি ব'লে আমার মতন গতিপ্রকৃতির
কিছুজন থাকে।
যার যৌবন আসে, কাছে, দূরে, ছেড়ে চলে যায়
বালিশে মাথা দিয়ে না শুলে বালিশ ঠাণ্ডা হয়ে থাকে
পুকুর কাটার জন্যে পুকুরে নেমেছি। সেটা নীচে নামার
মতো ভীতি। আমি পেয়েছি। মানুষদের কাজে আসে ব'লে
মাছেদের, মাছিদের, কোনও কাজেই লাগে না এই জল। মাছেরা
অমূলক কথা কম বলে, ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও তারা জেগে থাকে
মানুষের চেয়ে বেশিক্ষণ তাদের চোখ খোলা আছে। আমি বলি--
ওই ঘাটে বসা ঘষে রাখা রাত্রির ডিশখোলাদের
ব্যবহৃত হয় আর ব্যবহার করা মিলে সমাজের গতিপ্রকৃতির
নীচে নেমে বহু দেখি ওপর ব'লে কিছু নেই; সেখানে রাতের গায়ে
মানুষের কমদামী বাজার বসেছে;
জড়ুলের ঘষামাজা দেখে দেখে মাছের মতন চোখ
যাদের অসংখ্য খুলে গেছে,
আমি যাদবপুরে অনেককে দেখেছি, সার্কাসে কেউ কেউ ছিল
প্রতিভাপূর্ণ ব'লে পাশ কেটে সাধারণতের মধ্যে গেছি
সকলের কান আমি নীচ থেকে চিনতে পেরেছি
অ-নীচু, অ-উঁচুর তলা দিয়ে নিম্ন চলে যায়, চলাচল উচ্চ ক'রে থাকে
যাকে আমি মান্যতা দিয়েছি
হয় নম্রতাকে ভালোবাসে ব'লে কখনও সে নীচ হয় 


চিত্র : উইলিয়ম ব্লেক


সৌখিন লোকেরাও পড়ে দেখতে পারেন : প্রশান্ত হালদারের পাঁচটি কবিতা




ফ্যান চালিয়ে যে কোনো ভাবনার কাছে যেতে ভয় পাই
স্থিরতায় বিশ্বাস করিনি বলে ভর্ৎসিত ঘরে-বাইরে
শুভকামনার নামে নোংরামির শিকার হচ্ছি রোজ
ক্রমশ পরিবার ও রাষ্ট্রের মঙ্গলকর বারান্দায় ঝুঁকে পড়ছি
হয়ে উঠছি বিবৃতিদানের মাস্টার
যথারীতি অসুখ-বিষয়ক চর্চা চলতেই থাকে
আমিও অনুপ্রাসের ফাঁদে আটকে যুগ পার করে দিলাম
কিন্তু এসব কথায় তোমার কোনো ক্লান্তি নেই
তুমি তো রাষ্ট্রদূত


দেখে গিয়েছিলে
বিশাল বাড়ির ছোট্ট একটা ঘরের
লাগোয়া বাথরুমে বসে থাকতে, সিগারেট ধরিয়ে
তাও সমুদ্রে গিয়েছ
কাউকে বলোনি

তোমার খুনের নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে—
এই স্বপ্নের কথা যেন পাঁচ-কান না হয়

তবু এত এত সাবধানতা
দুঁদে গোয়েন্দার আতস কাচের নিচে ধরা পড়ে যাবে

তবে কি রহস্য বলে কিছু নেই

পাড়াতুতো ভ্যানস্ট্যান্ড জ্বলছে

খাঁ-খাঁ করছে গোটা ছাদ
রাস্তায় বিশাল ছায়ারা ওঁৎ পেতে আছে

আমরা হাঁটছি, ধরা পড়ছি
বেরিয়ে যাচ্ছি
আগামী ছায়ার পাহাড়ে চাপা পড়তে চেয়ে

বাঁদিকে কালীঘাট ব্রিজে সস্তা বেশ্যা আর
ডাইনে জেলখানা। আছি অটোর ভিতর
নজরে সারা-বাংলা কারা-কর্মীদের সংগঠন অফিস
দু-দুখানা-প্যান্টে বন্দী মিইয়ে যাওয়া মাংসল ছোরা নিয়ে
এগুচ্ছি অটোতে
সামনে আদালত। জানি, এর কোনো বিচার হবে না।


মোজাফফর হোসেন ও তাঁর গল্পচিন্তা


কিছু বই পড়বার ইচ্ছা থাকে, —সহজে মেলে না। আচমকা পেয়ে গেলাম, —এ অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তিই।
এবার আপাতত পাঠ ও পরিক্রমা।
বিস্তারিত ক্রমপ্রকাশ্য...