লিওনার্ড কোহেন এক জায়গায় বলছেন, তিনি ধাপ্পাবাজ; কখন ধাপ্পা দেন? আদর করার সময় তিনি এই আপাত অনৈতিক কাজটা করেন এবং লজ্জাহীনভাবে তিনি দাবি করছেন, ধাপ্পা দিতে 'দারুণ' লাগে তাঁর। আদরকালীন থমথমে মুহূর্তে কীভাবে প্রতারণা করা সম্ভব? তাহলে কি তিনি 'যৌন অসততা'র কথা বললেন? প্রেমে ফাঁকিবাজি থাকতে পারে সম্ভবত, কিন্তু আদরে? আনন্দের খবর হল, তিনিও মেয়েটার তথাকথিত ধাপ্পাবাজি ধরতে ও বুঝতে পারেন, টের পান, উপলব্ধি করেন এবং এ নিয়ে তিনি বিব্রত বা উদ্বিগ্ন নন; অর্থাৎ সার্বিক ও চূড়ান্ত পজেসিভনেশজনিত আধিপত্যবাদী দেহবাসনা থেকে তিনি মুক্ত হতে পারলেন এবং নিজেকেও চিনতে পারলেন এইভাবে যে, সম্পর্কে কাতরতাচিহ্নিত আর্তি একপাক্ষিক নয়। রাজা যেমন রাজার আচরণ প্রত্যাশা করেন, কোহেনও তেমনই চাইছেন, একজন প্রতারকের প্রাপ্য ধাপ্পাবাজিটুকুই। মানুষের সম্পর্ককে 'রসায়ন' বলে বিজ্ঞাপিত করা হলেও তা কার্যত অর্থনীতি ও রাজনীতি—এই কথাটুকু সহাস্যে ঘোষণা করলেন তিনি একটা কবিতায়। কোহেন এরকম 'ইনকারেক্টনেস' নিয়ে রয়ে গেছেন পণ্যবাজারে।
বইটি নাগালে এলো বইমেলা থেকে।
চমৎকার অনুবাদ করেছেন কবি শুভদীপ মৈত্র ও অর্ণব চৌধুরী। ব্রতীন সরকার জহুরির মতো ময়দান থেকে যে মুক্তো সংগ্রহ করেছেন তা ঝুটো নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Share. Comment. Subscribe