New Ton


নতুনত্ব একটি পরাণপ্রিয় ধোকা 
..................
নতুনতা জোগানোর ভার পড়েছে। নতুন কথা,  নতুন বই,  নতুন চা,  নতুন দোকান, নতুনের নতুন।
আমি ভাবি, আমি নিজেই কি এতটা নতুন?  তিনি নিজেই কি এতটা নতুন? তাহলে এত নতুনের কড়াকড়ি, কাড়াকাড়ি কেন? এ জগৎও কি পর্যাপ্ত নতুন?  তাহলে? তবে?
অনেকানেক পুরাতনী কথা আমি সংগ্রহ করি। তা-ই সরবরাহ করি। তাঁর নতুন ঠেকে এই সব।
আমার স্বস্তি কেন না জোগানদারের কাজেও আমি নতুন। 


ভালবাসা
জিয়া হক

An unknown 'prophet'


I  am a sovereign

প্রতিটি মানুষ সার্বভৌম। সে একটি বৃহৎ সার্বভৌমত্বের অংশ। প্রতিনিধি। অধীন নয়। অধীনতার প্রসঙ্গ এলেই ওই ব্যক্তি-সার্বভৌমত্ব আহত হয়।  ব্যক্তি কীভাবে রক্ষা করবে তার নিজস্ব সার্বভৌমত্বকে? তার বাহিনী কে, কী? ফিজুলি বলছেন,  শব্দই তার সেনা। এই সেনারা কি নিরঙ্কুশ? এরা কি অপরাজেয়? এরা কি বলশোভিত? কোথায় থেকে আসে এই শব্দসেনানীর বল? ফিজুলি বলবেন,  এই ক্ষমতা কার্যত সত্য-জাত।
জাতীয়তাবাদী মনোবিকাশ একটি রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন। রাষ্ট্র এই বিশেষ চিন্তা-ঘোর দিয়ে তার নানা 'পাপ' কে সিদ্ধ করে ফেলতে পারে। তবে, একটি জাতির একক তো একটি সার্বভৌম মানুষ। এই মানুষকে প্রস্তাব দিতে পারি, অনুরোধ করতে পারি, সচেতন করতে পারি, কিন্তু বাধ্য করতে পারি না। ফিজুলি যা বলতে চাননি তা হল, রাষ্ট্র একটি হ্যাজাগ আলো আর ব্যক্তি হল একটি লম্ফ কিন্তু ধর্মে দুজনেই আলো। কে কত জোর খাটাবে, কে কত জোর দেখাবে, সেটা ক্ষমতা-বিজ্ঞানের ব্যাখ্যার আওতাধীন।

ভালবাসা
জিয়া হক 

Rotten Words : two point zero



A few more Rotten Words





More Rotten Words





Rotten Words





বাংলাদেশি কবিতা : দ্বিতীয় প্রস্থ : পাঠ-প্রতিক্রিয়া

সমান্তরাল নয়, মুখ্য স্বর
শ্মশানে নদীর চিতা, চন্দ্রচূর্ণ
.......................................................................................
ভিড়-প্রবাহের ধারে তিরতিরে একটি মগ্ন স্রোত —এভাবেই সাইফুল ভুঁইয়ার কবিতাকে 'ব্যাখ্যা' করতে চাইব। বাংলাদেশি কবিতার যে ফেনায়িত দীর্ঘ আলুলায়িত, কিঞ্চিৎ আবেগের নিয়ন্ত্রণ-উদাসী প্রবণতার বাইরে একটি অপর বাংলাদেশ।

কবিতা কারো কারো কাছে একটা খেয়াল। এই খেয়ালি কবিমহল সরগরম করে রাখে আবৃত্তিতালিকা, পুরষ্কারমঞ্চ, শোভা যাত্রা। এ ভারি অশোভন কেননা আপনি কখনই সেই শিক্ষকের উপর নিজের সন্তানের শিক্ষা-জীবনের ভার দেবেন না যাঁর কাছে শিক্ষকতা নেহাতই একটা প্রফেশন।

কেউ বলতে পারবেন এমতাবস্থায়, কবি কেবলই রূপ তৈরি করে দিয়ে তার ইহলৌকিক দায় সারবেন। তাঁকে না হতে হবে সমাজচিন্তক, না হতে হবে দার্শনিক, না হতে হবে 'মানুষ'। তিনি হবেন পানীয়জীবী ও পরজীবী। এমন উদ্বায়ী না হলে কবিতা 'আসবে' কোন পথে? শব্দসন্ধানী হওয়াই কবির ইহজাগতিক ভবিতব্য। শব্দের সংস্থান ও শব্দের বন্ধন —এই হল 'শিল্প' —আর্ট ও ইন্ডাস্ট্রি —দুই অর্থে। সাইফুল ভুঁইয়া কিছু বলতে চান। তাঁর মতো করে। তাঁর কবিতা কেবল কানের জন্য নয়। বাংলাভাষী তা দ্রুত বুঝে উঠতে পারলে মঙ্গল কেননা কবিকে শুধুই 'একজন ডার্মাটোলজিস্ট যে কিনা কাব্যচর্চাও করে থাকেন' —এই সূত্রে দেখবার চল আছে।

সেই পুরনো কথাটি এখন 'পাড়তে' ই হয় —কবিতা কতখানি বুদ্ধির আর কতখানি আবেগের।  মধ্যপন্থীরা বলবেন, দুটোর বাড়-অবস্থান - বৃদ্ধির হার সমানুপাতিক। সুষম হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু প্রশ্ন হল মাত্রার। কত পরিমাণ ঈষদুষ্ণ জলে কত ফোটা হোমিওপ্যাথ —এই পদ্ধতি এখানে খাটবে না। তবে, আমাদের বিশ্বাস, এই 'পোস্ট ট্রুথ' পর্বে, কবিতায় মেধা কয়েক আউন্স বেশি থাকবে আর আবেগ তাকে সৌন্দর্য এনে দেবে। মেধা যদি রুটি-চাপাটি হয়, তাহলে আবেগ হবে নকশাদার প্লেটটি। কিন্তু পাত্রখানিই হল লাওপালার আর তাতে পরিবেশিত হল অ-কু-খাদ্য —আপনি কী করবেন ভদ্রে? সাইফুল ভুঁইয়া প্লেটটি দেশজ আর পরিবেশিত খাদ্যে লবণের আধিক্য নেই। তবে কোথাও কোথাও যে একেবারেই নেই তা বলা অন্ধত্ব হবে।

শ্মশানে নদীর চিতা, চন্দ্রচূর্ণ —বাংলাদেশি কবিতার ইতিহাসে দুটি ঘটনা। এ কথা প্রায়জনমান্য, দূরত্বই কবিতাকে পুনর্জীবন দেয় —যখন কবি থাকেন না কাছেপিঠে, দূরে, কোথাও —তখন তাঁর কবিতা নয়া জন্ম নেয়, পুনরায় ভূমিষ্ঠ হয়, যেভাবে জীবনানন্দ দাশের কবিতা হয়েছে। তবে এ ও অসত্য নয় যে, চির-অদর্শনের ভাবনা পাঠককে গ্রহিষ্ণু করে। সব দৃষ্টিই তখন ক্ষমাসুন্দর।

বাঙালি সমালোচকরা জীবিতদের চিনতে পারেন না।

জিয়া হক 

ঝাউবন শুধু কবিতায় মানায়

বৃষ্টি-উত্তর আকাশ আর জ্যোৎস্না-উত্তর আকাশের
মাঝখানে সে চেয়ার টেনে বসতে চেয়েছে একদিন ;
জঙ্গলকে সে বলতেই পারে না অরণ্য —ভালো শব্দ
ভালো পৃথিবীর সম্ভাবনা দেয় —তৈরি করে না
জুতোর দোকানে সে অভিজাত কেউ, তা প্রমাণে
ব্যস্ত থাকেনা বৌসহ ; সে যে আকাশ হয়ে যেতে চায়
বলে আকাশি প্রেম করে তা নয়,  মানুষের মুখনখ
তাকে ব্যথা দেয় উদ্বায়ী করে

Dr. B. R. Ambedkar and his progeny

শীতের পশমিনা জ্যাকেট, জওহর কোট চাপিয়ে এল বি এড কলেজের নায়কনায়িকারা। তারা যে কোনো বাংলা মেগা সিরিয়ালের কুশীলব হতে পারে। অভিষেক মালি, সচিন, রাধামাধব —সবাই পরিবারের 'বড় থেকে ছোট'  সজ্জায় ভাই হতে পারে। দেবশ্রী দি হতে পারেন স্নেহশীলা জননী গোত্রের কেউ। সংহিতা হবে বাড়ির ছোট ননদ, যে কিনা আদর-জবজবে আর কোমল-মতির। সায়ন্তিকা বসবে কোনো লাফটার চ্যালেঞ্জের জাজের ফুলো চেয়ারে। বিনা পাঞ্চেই সে দু বস্তা হেসে দিতে পারে।
ইতিহার দা যেন অনেক অনেক দূর-সম্পর্কীয় কোনো আত্মীয় ; বহু যুগ পরে দেখা হয়ে গেছে ; নির্ভুল চিনে উঠতে পারছেন না মুখগুলো ; তাই 'হাসিব কি হাসিব না' —এই দ্বন্দ্বে আড়ষ্ট হয়ে আছেন। তাঁকে বৈঠকখানায় বসানোর ব্যবস্থা হোক ভদ্র মহোদয়গণ।

এই আমাদের মহা-মহা-মহাবিদ্যালয়। অনেকে বুঝে উঠতে পারছে না, একে ভালবাসা যায় কি না আর গেলে কীভাবে!!

বাকিরা কে কী রোল পেতে পারে সাজেস্ট করতে পারো। নইলে আমাকেই পূর্ণাঙ্গ দায় লইতে হইবেক...

Essential Qabbani : Poetry


কোনো গ্রীষ্মে
সমুদ্রের কোণায় নিজেকে ছড়িয়ে
ভাবি তোমাকে,
সমুদ্রকে বলিও তোমার কথা —
কী ভাব আমার তুমি-বিষয়ক

সমুদ্র ছেড়ে দিত তার জল-তীর
তার মাছরাজি
তার ঝিনুকখোল
আর
অনুসরণ করত আমাকেই

[আরও কাব্বানি ক্রমশ-প্রকাশ্য ] 

Nizar Qabbani : an essential poet


নিজার কাব্বানির কবিতা


১.
দূর থেকে ফিরে
      যতবারই
  চুমু রাখি —ততবারই
মনে হয়, একটা
কর্মব্যস্ত চিঠি
ফেলে চললাম
      লাল এক
ডাকবাক্সে


২.

কোনো গ্রীষ্মে
সমুদ্রের কোণায় নিজেকে ছড়িয়ে
ভাবি তোমাকে,
সমুদ্রকে বলিও তোমার কথা —
কী ভাব আমার তুমি-বিষয়ক

সমুদ্র ছেড়ে দিত তার জল-তীর
তার মাছরাজি
তার ঝিনুকখোল
আর
অনুসরণ করত আমাকেই



[আরও কবিতা ক্রমপ্রকাশ্য
অনুবাদ: জিয়া হক ] 

অন্য বাংলাদেশ : অন্য কবিতা : সাইফুল ভুঁইয়া

সপ্তম বাংলাদেশ বইমেলার আজ শেষ দিন। আসর বসেছে মোহরকুঞ্জে। বাংলার একান্ত বাঁশদন্ডের ছবির ফ্লেক্স জড়ানো স্টলগুলোতে।  ভূগোলের তো স্থানান্তরণ হয় না,  সংস্কৃতির হয়। লোকজনপদের হয়। এই মেলাকে বইয়ের বলব না, বলব ভাব বন্টনের বৈঠক। তিস্তা এখানে বয় না। সচল বই আছে, জড় বইয়ের সৌজন্যে। যদিও কোনও বই 'জড়' হতে পারে না। যে বই প্রকৃতই নির্জীবনপ্রাপ্ত, সে বই প্রকৃতই কিছু সেলাইকৃত কাগজ। দুটি জীবন-গ্রন্থ পেয়েছি — শ্মশানে নদীর চিতা, চন্দ্রচূর্ণ। পড়ছি। প্রতিক্রিয়া বিস্তারিত জানাব। আরও একটু শীত হোক, শৈত্যপ্রবাহ সীমান্ত পেরিয়ে আসুক।

ভালবাসা
জিয়া হক  

I love cryptogram

গুগল প্লে স্টোরে একটা গেমিং অ্যাপ আছে — ক্রিপ্টোগ্রাম।
কাল্পনিক শত্রুদের কাল্পনিক বন্দুক দিয়ে খুনের জঙ্গিপনা, শিশুকিশোর মনের খুনকে শ্রেয় জ্ঞান করতে শেখা, নৃশংসতার মান্যতা প্রাপ্তি, কানুন 'স্ব হাতে তুলে নেওয়া' —এই সবই ঘটে খুনে গেমগুলোতে।  এটা ঠিক যে, গ্রাফিক্সের কাজে কর্মে এই গেমগুলো সিনেমার সমকক্ষ। অ্যানিমেটেড মুভির নিয়ন্ত্রণ যেন খেলোয়াড়ের হাতে। খেলোয়াড় কি এখানে খানিকটা পরিচালকের আসনে বসবার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে?  এটাও কি খানিক সত্যি যে পারিপার্শ্বের কিছুই যার কথা শোনে না, সেখানে একটা অঞ্চলের বন্দুকধারী কর্মকর্তা হয়ে ওঠা প্লেয়ারের এমপাওয়ার্ড অনুভব করার প্লেজার আছে? লোন উলফের ধারণাকেও এক্ষেত্রে মেলানো যেতে পারে।
বলতে চাই ক্রিপ্টোগ্রাম গেমটি সম্বন্ধে। এই খেলাকে কেউ বলতে পারে 'গেসিং গেম'। বর্ণ আন্দাজ করা, সেই অন্ধকারি ঢিল কুড়িয়ে শব্দের সন্ধানে বেরনো।  আসলে কিন্তু তা নয়।  আমাদের মস্তিষ্কের স্কিমা অঞ্চলের প্রক্ষালনই কার্যত ঘটে।  এটা অসত্যি নয় যে, শুরুটা অনুমান নির্ভর, কিন্তু ওইটুকুই। তারপর আপনার ভাষাজ্ঞানই আপনাকে সুপথ দেখাতে পারে। বৈষয়িক জ্ঞানগম্যিও প্রদর্শক হবে।
গেমটা কী? প্রখ্যাত মনীষীদের উক্তি উদ্ধার করাই খেলা। আছেন বুদ্ধ, অ্যারিস্টটল, শেক্সপিয়র, শেলি প্রমুখ। তবে টুইস্ট হল, উক্তিগুলো প্রায় নেই বললেই চলে। হিন্টের জায়গায় থাকবে —উক্তিটা কার ও কী বিষয়ক। আর থাকবে বিচ্ছিন্ন কয়েকটা বর্ণ। অন্তর্বর্তী বর্ণের মালা বানিয়ে শব্দ থেকে বাক্য নির্মাণই আপনার খেলোয়াড়ি প্রকল্প।
যেমন...।  আসলে উদাহরণ দেওয়াই সম্ভব নয়।  অ্যাপটা ডাইনলোড করে খেলে দেখুন। সুবিধা হল, এর সাইজ মাত্র ৩ এমবি।
আমরা তো ত্রাতা নই, কিন্তু শব্দের উদ্ধারকারী হতে কে না ভাষায় ডুব দিতে চায়।
শুভ অবগাহন।

ভালবাসা
জিয়া হক

Virgin Road


I find no one who could sit by me. I am neither a river nor I do have benches to sit upon. I still wait for a passenger who will enter this compartment and everything will look gentle. Am I bothered about 'looks'?  Am I scared of ugliness? How come I, with a mind that is not as much clean as it should be.  Body sprays take care of bodies. It is merely another tool to hide ourselves. When you say, I love you and put burden on my head, it really stinks. I know, life stinks.
Why don't you leave this dress then?
—To be true, it already has ruined my nasal competence.
—Your nose is beautiful, I must say.
—It has just been a facial accessory and I have lost my mirror the day it has lost its job.

With love
ZIA HAQUE

Dreamlessness

We are scared of the hell . We all love and want to go to the jannat . We want everything and everyone to be safe .
'why do you make your life a Jahannam ? '
How do I ?
—Why do you dream then ? 

Early riser

To live in the hearts, he left the world. I got him in my dream and asked, 'don't you think, heart is not a safe place to be in?'
He smiled. He laughed. He started crying.
It was middle of the night. It was the time for tahazzud salat.
He said, why do you get up so early?
—to perform salat.
—why do you perform salat?
—Is this just a curiosity or a question?
He said,  I just want to know.
I said, to have a good life in here after.
'This was the reason I got up early ', he said and my dream faded away.

এক আশি


ছেলেটি ভীষণ উজ্জ্বল, একদিন রবীন্দ্রনাথ
হয়ে উঠবে বলে ধারণা মফস্বলবাসীর।
সে গানের ব্যাখ্যা জানে, জানে ছবিতে
লাল রঙ মানে কী, তার জন্ম অল্প দিনই
আগের ঘটনা, তার নামই উজ্জ্বল,
উজ্জ্বল সিরিয়া কোথায় জানে, সিরিয়া
কোথায় চলেছে জানে, ডাক্তার বলেছে,
বেশিদিন বেঁচে থাকা উজ্জ্বলের জন্য হানিকর,
এই বয়সে জ্যোৎস্না রাত উপভোগ করতে শিখে
গেছে সে একা একা, নিজে নিজে,
সব সাদা আর সব কালোর মাঝখানে ঘষা অঞ্চল
সে জানে, সে তার আত্মজীবনীর নাম ভেবে রাখে,
একটা বিষয় সে জানে না, সবাই কি এই স-ব বোঝে?

জিয়া হক

Fragrance of poetry

http://m.banglatribune.com/literature/news/256921/সুকবিতার-সুগন্ধhttp://m.banglatribune.com/literature/news/256921/সুকবিতার-সুগন্ধ

Being incorrect

Being incorrect :
psychologically & grammatically
.........................
Ignore me. Do I deserve that much attention u pay? I love to be left out, I liked to be hated, I preferred to stay far from the daily celebration party of life. I had no grievance. Watching everything from a distance is bliss, a few can afford. A very few can tolerate to be ignored or to be dominated by all. It requires a healthily strong mind. One in a million possesses that extra natural or super normal psyche. A dark horse or an under dog is an 'animal' I always loved. I could have waited for the flower which bloomed lately as if I was its sole buttler. As if I was its honey bee and ambitious auctioneer. I dreamt of being a chosen one. There must be some one or some agencies that will choose me out of this massive mass. It is a vivid waiting like the boy in the short story 'araby' written by James Joyce. That waiting made his life worth living. It should not have been ended ever. Oh, poor chap!  He tried to go through the final page of the notebook. Life is like an onion, if too close you lean on it, what you only have is tears. Keeping distance is being safe.
I bought two gold fish. It taught me a lesson before dying. What was it? I pined for beauty, I longed for beauty, I craved for beauty but all I did was pining, longing and craving. I never thought if I deserved beauty at all or the beauty deserved me at all. I did not thrash the aquarium as it was a cemetery for two poor souls. Two gold fish were buried in oblivion. I did not want them to be Phenix for deconstructing the experience is painful. It rested in peace and my peace of mind rested in them. They were not poor souls but my idea was. The idea of beautifying my cage. A cage with luxury. It is like being on the top. It is like being loved and surrounded by strangers in a holy place where you cannot utter any cussing word. There always is a close circuit god like cctv or iblish watching which spot you are itching in. I was fed up with iblish. I never saw him but could sense its presence near me. It was a battle of sahi-path. I wanted him to be visible, to come for a fist but he opted the guerrilla way.

I still lurk amidst the debris. I want to be my own rescuer, with His blessings. A road ends only when you lose the wish to walk. You lose the desire to walk only when you start thinking that it is your legs that make you walk.

With love
Zia Haque

যাদুপুর লোকাল ডাউন

অনুষ্ঠান কর্মী
জিয়া হক
..............
বন্ধু দরকার কেননা সবারই
অন্তত একটি জনম্ দিন আছে
যখন সব কেক নিভে গেল তখন
একটা পুরনো বটগাছের নিচে
জিজ্ঞেস করতেই পারো, 'আপনি কি
কারো জন্যে দাঁড়িয়ে আছেন?'
সেও মুখ হয়ত তুলে বলবে, 'আজ কারও
জন্মদিন নেই?'
দুজনেই তারপর ডুবে যাবে অপরিচয়ে —
সমাজি মাধ্যমে / সোশিও সাগরে

মাঝপথে

মাঝপথে
(অনু নাটিকা)
জিয়া হক
...............

আনন্দী দল
গম্ভীরা দল
মধ্যবাসী দল
সূত্রধর
...............
সূত্রধর : নমস্কার সুধীবৃন্দ। আলাপ করিয়ে দিই।  আমার ডাইনে রয়েছে আনন্দী দল। তাদের সবেতেই আনন্দ। তাদের পা খালি নেচে বেড়ায়। ছাড়া পেলেই আর খুঁজে পাওয়া ভার। তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জুড়ে রয়েছে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার ছবি,  মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমার পোস্টার পাশে ছবি, লং জার্নি, শর্ট জার্নি, মিডিয়াম জার্নি, উচ্চ মিডিয়াম জার্নি,  নিম্ন মিডিয়াম জার্নির ছবি,  এদের চামড়া কী সুখী! দেখুন হাসছে। এমন জ্বলজ্বলে কটনের ঘেরাটোপে থাকা চামড়াকে চামড়া বলা আমার অনুচিত হচ্ছে, এটা ১০০ ভাগ খাঁটি স্কিন।

এইবার আসি আমার বাম দিকে।  এরা গম্ভীরা দল।  এদের মুখে সূর্যোদয় হয় না। সবেতেই এরা গম্ভীর। এঁরা বাহুবলী দেখে না, মোমো খায় না,  ভারত বিশ্বকাপ ক্রিকেট জিতলেও তাঁদের মুখের ন্যূনতম বিকৃতি হয় না। কপিল শর্মা, মশহুর গুলাটির যৌথ ট্যাবলেটেও এঁরা ঋষিসুলভ।  কী শান্ত,  কী সমাহিত!  তাঁরা ফেসবুকে শুধু কেঁদো ভল্লুকের ছবি শেয়ার করেন আর বিপুল ভারতের বিপুল ডাস্টবিনের কিছু ছবি।  তাঁরা লাইক-প্রত্যাশী নন। তারা না দার্শনিক, না রামগরুড়, কিন্তু কী এক অজ্ঞাত কারণে তাদের মনে তো নয়ই, সৌজন্যের মুখেও সুখ নেই।

এবার আলাপ করাই তিন নম্বর দলের সঙ্গে। এরা মধ্যবাসী। মাঝের পথ ধরে এরা হেঁটে চলেছে। এক গালে চাপড় খেলে এরা আরেকটা গাল বাড়িয়ে দেয় না আবার দূষিত গাল পেলেই কেবল চাপড়ে চলে না। এরা রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনে, হিমেশ রেশমিয়াও শোনে। চেতন ভগতকে এরা ক্ষমা করে দেয় অক্লেশে, সলমন রাশদিও বালিশের পাশে রাখে এরা।  মধু চা কিম্বা চিনি হীন চা —কোনোটাতেই এদের আপত্তি নেই।  আনন্দের গানে তারা নেচে ওঠে, বিষাদের গানে এদের মুখ হয় গম্ভীর।

পরিচয় পর্ব শেষ। এবার শুরু হবে নাটক। দেখুন না, কোনও স্ক্রিপ্ট নেই, কিন্তু তাও একটা নাটক। আসলে এদের জীবনটাই একটা ড্রামা। এনে ফেলুন না যে কোনো একটা বিষয়, দেখবেন শুরু হয়ে যাবে বিপুল বিশাল মহাভারতীয় ড্রামা।

(দর্শকদের মধ্যে বসে থাকবে নাটকদলের একজন প্রতিনিধি। তাকেই ডেকে মঞ্চে তুলবে সূত্রধর।)

এই দেখুন না, অচেনা অজানা আধারকার্ডহীন এই বালক একটা কথা শুধু এই দলের সামনে বলবে আর তাতেই কী বেঁধে যায় দেখুন।

সূত্রধর : আপনার নাম কী রাজন?
—আমার নামই তো রাজন। রাজন হালদার। আপনি কী করে জানলেন গুরুদেব?
সূত্রধর : (খানিকটা বিস্ময় ও খানিক শ্লাঘা মিশিয়ে)  সে অনেক সাধনা রাজন। তা যাক গে, এই যে তিনটে দল দেখতে পাচ্ছেন, এদের সামনে যে কোনো একটা মন্তব্য করুন প্লিজ।

—কী মন্তব্য করব গুরুদেব?
সূত্রধর : এই রে তাও বলে দিতে হবে? (মনে মনে)।  আপনার শিশুর বিষয়ে কোনো কথা বলুন হে রাজন। এরা শিশুপ্রেমিক কি না।
—যথা আজ্ঞা গুরুদেব।

রাজন ইতস্তত করে এগিয়ে যায় মঞ্চের মাঝখানে। তিনটে দলের দিকে আড়ষ্ট ভাবে তাকায়, তারপর আনন্দী দলের দিকে তাকিয়ে বলে, আমার ছেলেটি বড্ড বেয়াদব।
তাই শুনে আনন্দী দল : ছেলে? হা হা হা হা হা হা
বড্ড?  হা হা হা হা হা হা হা হা হা
বেয়াদব? হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা

রাজন : আপনারা হাসছেন কেন?
তাই শুনে আনন্দী দল : আমরা? হা হা হা হা হা হা
হাসছি? হা হা হা হা হা হা
কেন? হা হা হা হা হা
নিজেরাই জানি না।  হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা

রবীন্দ্র সঙ্গীত শুরু হয়, —'বড় আশা করে এসেছি গো কাছে ডেকে লও '
আনন্দী দল : বড্ড বড় আশা গো। হা হা হা হা হা হা হা
এসেছে? কিন্তু কার কাছে? হা হা হা হা হা হা হা হা
ডেকে লিবে নাকি তুলে লিবে অ্যা? হা হা হা হা হা হা হা

রাজন ঘাবড়ে যায়। সে এবার গম্ভীরা দলের দিকে তাকায়। বলে, আমার ছেলে জলকে বলে হিসি।
তাই শুনে গম্ভীরা দল : ছেলে?  বলে কী লোকটা!!!
জল?  ওমা সে কি!!!
হিসি?  কী ভয়ানক, কী ভয়ানক!!!

রাজন : আপনারা এত গম্ভীর কেন?
তাই শুনে গম্ভীরা দল : আমরা?  বলে কী লোকটা!!!
গম্ভীর? ওমা সে কি!!!!
কেন?  কী ভয়ানক, কী ভয়ানক!!!!
নিজেরাই জানি না।  উফ্

রবীন্দ্র সঙ্গীত শুরু হয়, —'পাগলা হাওয়া বাদল দিনে পাগল আমার মন নেচে ওঠে '
গম্ভীরা দল : হাওয়া পাগল হয়ে গেছে! কী সর্বনাশ।
বাদল দিনের হাওয়া? লাগলেই সর্দি! হচ্ছেটা কী!
নেচে উঠছে সব! হায় হায়!

সূত্রধর সামনে দাঁড়িয়ে মিটি মিটি হাসেন। তিনি তো সর্বজ্ঞ। কী ঘটবে আনুপুঙ্খ তার জানা। মজা দেখছেন —এমন একটা ভাব তাঁর মুখে।

রাজন এইবার মধ্যবাসীদের দিকে তাকায় একবার, আরেকবার দর্শকদের দিকে তাকায়। কী বলবে সে বুঝতে পারে না। তারপর মুখ ফসকে আচমকা বলে ফেলে, আমার ছেলে ফেলু মাল।
তাই শুনে মধ্যবাসী দল : আপনি এখানে বসুন প্রথমে। কয়েকটা প্রশ্ন করতে চাই আপনাকে।
১. আপনার ছেলের বয়স কত?
২. সে কোন ক্লাসে পড়ে?
৩. শুরু থেকেই কি সে ফেলু ছিল?
৪. কবে থেকে এমনটা ঘটল?
৫. পড়াশোনা ছাড়া আর কী করতে সে ভালবাসে?

সূত্রধর মঞ্চের সামনে এসে দাঁড়ান: আপনারা দেখছেন যে রাজন ইজ ইন সেফ হ্যান্ডস নাও। আনন্দী  ও গম্ভীরা এরাও উদ্ধার কাজে নেমে আসতেই পারে। শুধু দরকার মানসিকতার যৎসামান্য বদল।  দুশ্চিন্তা করবেন না,  এই বদলে আপনাকে শনাক্ত করতে কারোরই অসুবিধা হবে না।  আনন্দী ও গম্ভীরা —এই দুই দল এক জায়গায় মিশলেই কিন্তু  সূত্রধর ভ্যানিশ।

খেলা দেখুন।

আনন্দী দল আর গম্ভীরা দল ধীরে ধীরে একে অপরের দিকে এগিয়ে আসে। আর সূত্রধর পিছু হঠতে থাকেন।
আনন্দীদের হাসি মুখ স্বাভাবিক হয়ে আসে। গম্ভীরাদের বিষাদমুখ সহজ হয়ে আসে। তারা মধ্যবাসীদের সঙ্গে মিশে যায়। আর সূত্রধরকেও মঞ্চে খুঁজে পাওয়া যায় না।

নেপথ্যে সঙ্গীত বাজবে : আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে গাছে গাছে পাখি ডাকে
কত শোভা চারিপাশে

সমাপ্ত

অনুভূতি বাজার

সহানুভূতি যেদিকেই যায়
নিয়ে গিয়ে রেখে এসো তাকে
এ বাড়ির কোনো চৌবাচ্চায়
রাখা কি যায় আর?
আজ বিকেল, সহানুভূতির জন্যে
গাছের পাতাও নড়ল না
কল থেকে ক্রমান্বয়ে জল পড়ে গেল
কোনো সহানুভূতি এসে
তুলেও রাখল না
কোনো বাজারে সহানুভূতির দোকান
চোখে পড়বে নিশ্চয়ই একদিন

যদুপুর লোকাল

কেউ কোথাও নেই
জিয়া হক
.............
গানবাহী বাতাস এলেই মনে হয়
পুলিশ এসেছে
ফুটে উঠতে দাও গোলাপ, প্রতি বছর
ঝরে যেতে দাও গোলাপ, প্রতি দিন
মালবাহী জনৈক এলেই মনে হয়
প্রেমপত্র পুলিশেরা পায় কার থেকে?
মরে যেতে দাও পাখি, প্রতি শীতে
ভেঙে যেতে দাও পাখা, এই শীতে
শ্রাদ্ধগৃহে নেই শুধু খাসিগোস্ত, শ্রদ্ধাপাত্রখানি