সামনে যখন 'বড়ো' পরীক্ষা তখন নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করা দরকার তা নিয়ে শিক্ষার্থীরা বেশ আতান্তরে পড়ে। কী পড়া হবে, কতটা পড়া হবে, কতক্ষণ পড়া হবে —এগুলি ভাবনার। পরীক্ষার সময় জীবনযাপনই বা কেমন হবে, সে বিষয়ে সঠিক ধারণার বিশেষ অভাব দেখা যায়। নিম্নে কয়েকটি শেষ মুহূর্তের পরামর্শ দেওয়া হল :
১. দিনের মধ্যে খেলাধুলোর জন্য একটা সময় বা একটু সময় বরাদ্দ রাখতেই হবে।
২. খুব সকালে যে ঘুম থেকে উঠতে হবে তার কোনও মানে নেই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে পড়ায় পর্যাপ্ত ও যথেষ্ট, যথাযথ সময় দেওয়া হচ্ছে কি না।
৩. যা পড়া হয়ে গেল তা যেন ভেবে দেখা হয়। অর্থাৎ যা পড়া হল সেটা স্মরণ করার চেষ্টা করাটা ভীষণ জরুরি।
৪. বন্ধুদের সঙ্গে যা পড়লে তা আলোচনা করতে পারলে খুব ভালো হয়।
৫. অতিরিক্ত সাজেশন করা অনুচিত। সাজেশন হল বাজি ধরার মতো। যারা সাজেশনভিত্তিক পড়াশোনা করে তারা রীতিমতো ভয়-শঙ্কিত থাকে, যেটা পরোক্ষে ক্ষতি করে।
৬. পড়ার সঙ্গে লেখাটাও সমান জরুরি। লিখতে গেলেই বোঝা যাবে পড়ায় কতখানি ফাঁক রয়ে গেছে। লিখলে মূল পরীক্ষার একটা রিহার্সাল বা মহড়া হয়ে যায়। উত্তরপত্র কীভাবে সুন্দর করে তোলা যেতে পারে সে বিষয়ে নানা 'আইডিয়া' আসে।
৭. সহায়িকা বই পড়লেও মূল পুস্তক নিখুঁত ভাবে পড়ে রাখা দরকার।
৮. সাহিত্যের ক্ষেত্রে কবিতা অংশের সারাংশ বা সারমর্ম যেন স্পষ্ট ভাবে জানা থাকে।
৯. অযথা দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। তাতে প্রস্তুতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
১০. জীবনযাপনে বিনোদনের জন্য ডিজিটাল মিডিয়ামের ব্যবহার কমিয়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটানো বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো বেশ কার্যকর।
১১. খেয়াল রাখবে, এটা শেষ অবধি একটি পরীক্ষাই। জীবন মরণের প্রশ্ন নয়। নিজেকে সহজ ও সাবলীল রাখতে পারলে আখেরে তোমারই লাভ।
শুভেচ্ছা নাও
হিমালয় বসু
এম. এ, বি. এড (যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়)
পরীক্ষার্থী বন্ধুদের সাফল্য কামনা করলে তাদেরকেও লিঙ্কটি শেয়ার করে পড়ার সুযোগ করে দাও।
ধন্যবাদ
সম্ভাব্য পাঠকদের প্রতি,
উত্তরমুছুনতোমাদের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
Thank u sir.for share it.
মুছুনশুভেচ্ছা নাও। সফল হও।
মুছুনGreat statements.tnx a lot sir
উত্তরমুছুনসাফল্য কামনা করি।
মুছুন