দুটি পদ্য

আমাদের বাড়ি সরিষায়
..................................
আমি আমার ব্যক্তিগত ভুলে যাই
একটি কাঠ, তুমি কীভাবে থাকো অর্বাচীন?
সব ধুয়ে যায় —ধৌত হয় মহান
মহানের ধুলোবালি বেরিয়ে পড়ে
পুজো হয় পার্বনের মতো, —ধুতি পরা কিশোর দেবতা
নগর ভিক্ষুকেরা ছবি তোলে, তোলে কন্যা
সিটি বাজার সিটি বাজানোর বয়স পেরিয়ে যায়
এক শালপাত্র ভালোবাসা নেবে? কেউ বলে ঘেউঘেউ করে
ছলনার দোকান বন্ধ হয়? হয় না কখনও
কে নয় বাচিক শিল্পী, কার গায়ে কাঁটা নেই?
বাগান কি টবের দুঃখ বোঝে?
                               গান কি গায়কের পাকস্থলী জানে?
মুদ্রার ভাষাজ্ঞান পকেটের আছে? ফ্রিজ ঠান্ডা রাখে সব
সকলেই জানে আমাদের পংক্তিভোজে ভূত খেতে বসে
আমি কি ভূত হইনি, হওনি কি তুমি?
প্রকৃত ভূতেরা তবে গোপনাঙ্গ পরীক্ষা করে না,
গণহত্যা নেই : বসবাস সরিষায় নয়
         

জ্ঞানদাস একা
....................
শয্যাশায়ীদের খাট ভেঙে গেছে : ভেঙে গেছে গলা
তাই রাস্তাচলা
মাছের মতোন কোনো দ্বীপে
উঠবে কি উঠবে না —নিজেরই সিদ্ধান্ত কোনো ছিপে

কে তাহাকে প্রতারণা, কে বা তাকে খাদ্য জ্ঞান করে
মাননীয় চেয়ারের স্তরে
জ্ঞান হলে বুক খাওয়া ছাড়া
অন্যের বুকে তাকে দুই কামরা ভাড়া—
নিতে হয় নানা প্রয়োজনে
যেহেতু সে বেঁচে আছে অবহেলা করুণ মৈথুনে

শয্যাখানি পাতা আছে দূর
সেবাদাসী পাওয়া যায়, আসে না বন্ধুর
কোনো চিঠি
ইতি


জিয়া হক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Share. Comment. Subscribe