একটি রূপাতীত
পোকা এসে বসল জংলী পাতায়।
আমি এখানে এলাম
অনেকদিন পরে।
এখানে গাভী আর
গাভী। কিছু ধেনু ষাঁড়ের দৌলত। তার জঙ্গ।
দূরে, অনেকানেক
দূরে উড়ন্ত চাকির মতো জলের ট্যাঙ্ক দেখা যায়, খাঁ খাঁ করে।
শুধু তৃণজীবীদের
ঘাস টেনে ছেঁড়ার শব্দ।
গাভী-খেলানো মেয়েরা
অনতিদূরে শুয়ে আছে।
রয়েছে অপ্রাপ্তবয়স্ক
বাবলার মরমর মূরতি।
‘আকাশ ছড়িয়ে আছে
আকাশে আকাশে’।
এই রূপ দেখবার
কোনো সঙ্গী আমার নেই।
প্রকৃতি ধীরে
ধীরে মেনোপজে চলে যাচ্ছে,
আমরা তার সবুজ-লাগা
সাদা থানখানি
৮০০ স্কোয়ার ফিট
বাড়ির টবে টবে টাঙিয়ে রাখলাম।
সে অবলা, সে অবোলা।
সূর্যোদয়ের জন্য
আপাতত সে পুব। সূর্যাস্তের জন্য ফলত তা পশ্চিম।
এতে যেমন বিজ্ঞান
নেই,
ঘাসে শুয়ে রূপের
এই যে বর্ণনাকারী সে ও প্রকৃতিপ্রেমে নেই কার্যত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Share. Comment. Subscribe