এই, এই দিকে
ছায়াছবি দেখি। 'সুস্থ' ও 'স্বাভাবিক' জীবনের বিবরণ দেখি। মিলিয়ে বুঝি, কতদূর এলাম (অধিকাংশত অনিচ্ছায়, না—শতভাগ) পূর্বাশ্রম থেকে। অনভিপ্রেত, কিন্তু এলাম। নিজেকে পূর্বাপর দেখলাম আর বুঝলাম এই যে প্রাত্যহিক মানুষী চলচ্ছবি, আমি তার অংশভাগী নই। নিজেকে বরফ ভেবেছি, উত্তাপ ভেবেছি নিজেকে। ফলত উদ্বায়ী হয়ে আকাশপথের যাত্রী হয়েছি ক্রমশ আর ভাবনার সঙ্গে ভাবনার মালিন্য রয়ে গেল।
বাদ্যযন্ত্রের সসীম চিৎকার নয়, বলি, প্রকৃতির আওয়াজ শোন। দূরের সুপুরি বাগানের শুকনো পাতা খসার শব্দ শোনাও পৃথিবীর সঙ্গে এক প্রকারে যুক্ত হওয়া। আর কত, কত কত ছিন্নতার পরে ওষধি বনের সমীপে যাওয়া সম্ভব হবে? উচ্চারণ রুগ্ন, তাই মর্মও তা উপেক্ষা করে। রুগ্ন কবির জন্য মুগ্ধতা ও মায়া, কিংবা মায়া-মুগ্ধতা। একটা পাথরকেও উপেক্ষা করতে করতে নিজেকে অসংবেদনশীল ও হিংস্র মনে হয় একদিন। তুলে আনি, যত্ন করি, প্রণাম জানাই। এ সবই প্রায়শ্চিত্তের অংশ। এমন 'পাপ'-এর স্খালন-চেষ্টা যা কার্যত পুণ্যের বিরোধী নয়। যে-কোনও দিক ও দর্শন থেকে যারা 'অপর' ও 'ভিন্ন' তারা ওই পাথর।
তেমনই এক নুড়ি ছায়াছবি দেখে পরিপার্শ্বের সঙ্গে তার মিল-অমিল খোঁজে। অনুরূপ লক্ষ্যে খবররের কাগজ নেয়।
ওই, ওই দিকে
প্রয়োজনাতীতকে চেয়েছি। আধার ততটাই নেয় যতটা তার ক্ষেত্র। আমার ইচ্ছা কি আধারের পরিমাপ জেনে প্রকাশিত হয়? কী কী দেখব বলে চোখ অপলক ছিল বনে? ময়ূরপুচ্ছ বৃষ্টিতে সুন্দর। শুধু কি বিশেষ পাখির পুচ্ছ? দেখতে চাইনি নাচ? নিরাপদ দূরত্বে বসে পশুর পাশবিক ভাষা—চাইনি কি? জনৈক কাঠুরের গাছ-প্রীতি ও বৃক্ষ-ঘৃণার করুণাচিহ্নিত সংলাপ—চেয়েছি তো। প্রয়াত আত্মীয়ের মুখ দেখব কোনও এক অপরিচিত শিরীষের তলে। ভাবনা যে-দিকে যায়, মানুষ তার ভক্ত-অনুসারী। মাছের উদরে বসে মাছকেই খাদ্য ভাবা—কাঠিন্য আছে।
মহাকাশ থেকে সুন্দর এই নীলগ্রহ—তিন ভাগ জল—এক ভাগ নারী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Share. Comment. Subscribe