বলদ চলেছে গাভীটির পাশে

প্রকাণ্ড দেহে যারা বাস করে প্রায়শ মানুষ
দাবি করে বলে চা দেয় সুবেশা রানিমা
বলদেরা ধান খায়, বলদেরা ধান চাষ করে
তাঁদের বেতন নেই, খোরপোষ বিধিবদ্ধভাবে
নক্ষত্রখচিত ওই ভাষা : তাঁরা কথা বলে, মান্য শ্রম দেয়
নগরের প্রতিটি সিন্দুক আরও এক মুনাফাবন্ধনে
শোভিতই করে রাখে তাঁদের আলোকচিত্রে, অমৃতচরণে
উহাদের শয্যা নয় ; স্বপ্নেই ঢেলে দিন মূত্র-প্রসাধন
ও মানুষ —প্রায়শ বলদ 

দুধের পাহাড়ে একদিন

অন্তর্হিত হলাম এই লোকমান্য পেয়ারা বাগানে
যেখানে পোকা ও মাকড় থাকে, অন্তর্ভুক্ত হলাম সেখানে
দয়ার প্রাসাদ আর দয়াময় ধানের মণ্ডপে
আসন্ন শীতের প্রাক্কালে
কাকে যেন দেব আমি সুগৃহিণী,—নাচের পুতুল
নাচের পুতুল যাবে প্রসূতিসদনে
জন্ম দেবে প্রতিটি বাড়ির মতে আরও এক চাঁদ
ইঁদুর এসেছে কিছু, বৃষ্টি হল খুব
যেভাবে শাস্ত্রসম্মতভাবে দস্যু আসে দেশে
শিক্ষক যেভাবে আসে মল-মন্ত্র মুখে
তাকে একটি উপগ্রহ কর দিতে হবে
যে-লোক বাড়িতে নেই, যে-লোক সভাবিমুখীন,
গৃহিণীকে বাৎসল্যে দেখে বলে সন্তান চায়নি
তাকে আমি সানুনয়ে অনুরোধ করি—
যেখানে হারিয়ে গেল সবাই, অন্তর্হিত হল
সন্ধ্যা পতনের আগে সেখানেই অন্তর্গত হয় যেন সে